জাবিতে বিজ্ঞান সচেতনতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা
Published:
6 July, 2022
Share:
জাবিতে বিজ্ঞান সচেতনতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিজ্ঞান যোগাযোগ ও লিডারশিপ স্কিল ডেভেলপমেন্ট শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের একটি কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের সহযোগিতায় এবং সায়েন্স পোর্টার বাংলাদেশ এর আয়োজন করে। এতে ৩০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর মধ্যে ছিল- বিজ্ঞানভিত্তিক বার্তা জনসাধারণের কাছে পৌঁছানো, কৃষিতে বায়োটেকনোলজির ব্যবহার, এবং এর বিকাশে কাজ করতে তরুণ সমাজের অবদান ইত্যাদি। এছাড়া অংশগ্রহণকারীরা এ সকল ব্যাপারে প্রকল্প পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এ বিষয়গুলোর উপর ব্যবহারিক সেশনে যোগদান করেন।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন— বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবির, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ.স.ম. ফিরোজ-উল-হাসান, কটন ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফরিদ উদ্দিন, এফএফবির উপদেষ্টা জীবনকৃষ্ণ বিশ্বাস এবং ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের সিইও মোহাম্মদ আরিফ হোসেন।

এ সময় জাবির বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং সাইন্সপোর্টার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, ‘বিজ্ঞান যোগাযোগের প্রসারে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ক্ষমতায়ন এবং কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারের সুযোগ এবং এ সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য এ ধরনের আরও অনুষ্ঠান করা প্রয়োজন। কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য আমাদের মূল অংশীদারদের সম্পৃক্ত করে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সক্ষমতা অর্জনের মত কর্মসূচি বাড়াতে হবে।’

আরও পড়ুন : অনশনে ১৩ শিক্ষার্থী অসুস্থ

এফএফবির উপদেষ্টা ডা. জীবনকৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, ‘মানুষকে কেবল জিএম ফসল নিরাপদ বললেই হবে না। মানুষকে বুঝতে হবে কীভাবে এবং কেন একটি ফসলকে জিএম (জেনেটিকালিমডিফাইড) বলা হয়। অতএব, তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আমাদের সহায়তা করা দরকার, যাতে তারা একটি বস্তুনিষ্ঠ সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’